সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলেন ৬৬ নারী শ্রমিক

সৌদি ফেরত নারী শ্রমিক

এবার সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলেন ৬৬ জন নারী শ্রমিক। ফিরে আসা এই নারী শ্রমিকদের নাম এন্ট্রি করা হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন প্রবাস কল্যাণ ডেস্কের (এয়ারপোর্ট) ইনচার্জ মো. হেলাল।

শনিবার (১৯ মে) রাত ৯টায় এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে করে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

ফেরত আসা সালমা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সৌদি আরবে প্রতিনিয়ত নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সেখানে তাদের আটকে রেখে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার পাশাপাশি রড গরম করে ছেকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। সালমা বলেন, ‘আমার পাসপোর্ট রেখে দিয়েছে মালিক। আমি সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে আসি। দূতাবাস থেকে আমাকে আউটপাস দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি এক বছর কাজ করেছি। কিন্তু বেতন দিয়েছে তিন মাসের। এর আগে আমি ওমানে ছিলাম। আমি তাদের ভাষা জানি। আমাকে অনেক গালাগালি করতো। খেতে দিতো না ঠিকমতো।’

উল্লেখ্য, দারিদ্র্য বিমোচন এবং কর্মক্ষেত্রের স্বল্পতার কারণে নারীরা বেছে নেন অভিবাসন ব্যবস্থা। নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান সুদূর সৌদি আরব, আরব-আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, লেবাননসহ বিশ্বের ১৮টি দেশে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৭ সালে অভিবাসী নারীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ১৯ হাজার ৯২৫ জন, যা মোট অভিবাসন সংখ্যার ১৩ শতাংশ।

১৯৯১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত একা অভিবাসন প্রত্যাশী নারী শ্রমিককে অভিবাসনে বাধা দেওয়া হলেও পরবর্তীতে ২০০৩ এবং ২০০৬ সালে কিছুটা শিথিল করা হয়। ২০০৪ সালের পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নারী শ্রমিকের অভিবাসন হার ক্রমাগত বাড়তে থাকে। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় মোট অভিবাসনের ১৯ শতাংশে। যদিও এই হার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।