সূত্র জানায়, জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুরের অন্য সংসদ সদস্য) বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি যেন এই নির্দেশ মতো কাজ করেন, তা তাকে বলার জন্য উপস্থিত দুই মন্ত্রীকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক সূত্র আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে খুলনা সিটি করপোরেশনের মতো গাজীপুরেও নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হবেন। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের উদ্দেশে বলেন, ‘কে প্রার্থী হবেন, তা বিবেচনায় আনার প্রয়োজন নাই। নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করুন।’ এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরের নির্বাচনে যেন নৌকা মার্কার প্রার্থী বিজয়ী হন, সেজন্য আপনার নির্বাচনি এলাকার নেতাকর্মীদেরও এই নির্বাচনের কাজে যুক্ত করুন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুলনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের ব্যক্তিগত ইমেজ, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ও দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ কর্মকাণ্ডই বিজয় এনেছে।’ একইভাবে তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।
পাশাপাশি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে জাতীয় পার্টি যেভাবে বিএনপির মন্ত্রী-এমপি ও নেতাকর্মীদের হাতে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সে বিষয়টি কেন জনসমক্ষে তুলে ধরা হচ্ছে না, সে বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ‘বিষয়টি দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলছেন।’