প্রকৌশলী মেসবাহুজ্জামান জানান, এখন স্যাটেলাইটের আইওটি (ইন অরবিট টেস্ট) সম্পন্ন হবে। এটা করতে ২০-২৫ দিন লেগে যেতে পারে। এরপর নেটওয়ার্ক হস্তান্তর হবে। এখন নেটওয়ার্ক রয়েছে স্যাটেলাইটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়ার হাতে। নেটওয়ার্ক হস্তান্তর হলে তা চলে আসবে গাজীপুরে স্থাপিত গ্রাউন্ড স্টেশনের কাছে। সে সময় নেটওয়ার্ক থাকবে গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে। এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে দুই থেকে আড়াই মাস লাগতে পারে বলে তিনি জানান। এরপরই শুরু হবে স্যাটেলাইটটির বাণিজ্যিক অপারেশনের কাজ।
মেয়াদের পুরোটা সময় এখানেই অবস্থান করবে স্যাটেলাইটটি। মিশনের ১৫ বছর মেয়াদকালে এটি সম্প্রচার, টেলিযোগাযোগ ও ডেটা কমিউনিকেশনের কাজে ব্যবহার করা যাবে। এজন্য স্যাটেলাইটটিতে রয়েছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য গাজীপুরে গ্রাউন্ড স্টেশন চালু করা হয়েছে। রাঙামাটির বেতবুনিয়ায়ও আরেকটি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এটি ব্যাকআপ গ্রাউন্ড স্টেশন হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘স্যাটটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ তার নিজ কক্ষপথে অবস্থান নিয়েছে। এটা সেট হয়ে সিগন্যাল পাঠাচ্ছে।’ সবকিছু ঠিক থাকলে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি বঙ্গবন্ধু-১ বাণিজ্যিক অপারেশনে যাবে বলে তিনি জানান।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা বিপণনের কাজ শুরু করেছি। আমাদের একটি টিম কাজ করছে। তবে স্যাটেলাইট পুরোপুরিভাবে সংকেতসহ প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে শুরু করলেই পরবর্তী পদক্ষেপের কাজ শুরু হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এরইমধ্যে বিসিএসসিএল ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, তাজিকিস্তান, কাজাকিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। সব ঠিক থাকলে পরবর্তীতে চুক্তি হতে পারে দেশগুলোর সঙ্গে।’
বিসিএসসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক অপারেশনে যেতে দুই থেকে আড়াই মাস লেগে যেতে পারে। এই সময়ের মধ্যে বিপণনের কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।’