বুধবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-১) মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম।
সোমবার (২১ মে) ঢাকার সেনানিবাস এলাকায় ইবিএল’র একটি এটিএম বুথ থেকে নূরনবীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ মে) রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করে র্যাব-১।
মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম বলেন, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ২০ মে রাতে নূরনবী বুথে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাসেল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লোক নিয়োগের পোস্টারিং করতেন। রাতে তিনি বুথে গিয়ে নূরনবীকে দেখে ক্ষিপ্ত হন। এরপর দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এরপর তাদের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে রাসেল ছুরি দিয়ে নূরনবীর গলায় আঘাত করে। তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এটিএম বুথের লাইট বন্ধ করে ছুরিটি ড্রেনে ফেলে দেয় এবং খুলনায় পালিয়ে যায়।
রাসেল ছুরি কোথায় পেয়েছিলেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী যেহেতু বুথেই থাকতো, সেহেতু কাটাকাটির জন্য ছুরিটি সম্ভবত সেখানেই ছিল।’
নিহত নূরনবী ১ মে থেকে ‘গ্লোব সিকিউরিটি সার্ভিস’ নামের প্রতিষ্ঠানের অধীনে ইবিএল’র ওই বুথে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ শুরু করেন। রাসেলও ওই প্রতিষ্ঠানে গত এপ্রিল পর্যন্ত চাকরি করেছিলেন। ৯ মে আইকন ফর সিকিউরিটি সার্ভিস নামের প্রতিষ্ঠানে রিক্রুটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন রাসেল।