শান্তিনিকেতনে দুই প্রধানমন্ত্রী

শান্তিনিকেতনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিপশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন দুই দেশের সরকারপ্রধান। তারা শান্তিনিকেতনে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন এবং সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে শান্তিনিকেতনের ‘বাংলাদেশ ভবন’ নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভবনে রয়েছে আধুনিক থিয়েটার, প্রদর্শনী কক্ষ, বিশাল লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরিতে রয়েছে সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক সম্পর্কিত গ্রন্থ। এছাড়া, ভবনের প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুর‌্যাল স্থাপন করা হয়েছে।

বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের শুরুতে নরেন্দ্র মোদি বাংলায় বলেন, ‘সকলকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম। শান্তির নীড় কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে আমি অত্যন্ত আনন্দ ও শান্তি অনুভব করছি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সমাবর্তনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন।

এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানে কলকাতা পৌঁছান। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।

নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে কলকাতা থেকে ১৮০ কিলোমিটার উত্তরে পশ্চিমবঙ্গেও বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে যান। বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক সবুজ কলি সেন শান্তিনিকেতনে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে। 

আরও পড়ুন- 

আলাদা দেশ হলেও বাংলাদেশ-ভারতের স্বার্থগত সংযোগ রয়েছে: মোদি

প্রধানমন্ত্রী কলকাতায়, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক আজ