বুধবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের টাইম শেষ হয়ে এলে আমরা বঙ্গবন্ধু-৩ তৈরি করবো। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমাদের ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই আমরা। যখন যে প্রযুক্তি আসবে সেটা যেন আমরা গবেষণা, ধারণ ও ব্যবহার করতে পারি সেই ব্যবস্থা নেবো। দেখি আগামীতে নতুন কী যুগ আসে, তখন আমরা সেদিকেও যাবো। যখনই যেটা আধুনিক ও যুগোপযোগী হবে সেটাই আমরা চিন্তাভাবনা করবো।’
স্যাটেলাইট নিয়ে বিএনপির অভিযোগ বিষয়ে ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে দেশ-বিদেশের সব বাঙালি খুশিতে উদ্বেলিত। সবার চোখে আনন্দ অশ্রু। সব মানুষ যখন এত খুশি, তখন বিএনপি কেন এত দুঃখী। পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের অনেক আগেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। আমরা কেন পারলাম না?’
বিএনপির প্রযুক্তি সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তাদের চিন্তাভাবনা এত সংকীর্ণ যে এই অঞ্চলে যখন সাবমেরিন ক্যাবল আসে তখন বিনা পয়সায় দেওয়া হলেও বিএনপি সরকার তথ্য পাচার হবে বলে তারা সেটি নিলো না। এই কথা বলে আমাদের বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। জানি না বিএনপির কাছে কী এমন গোপন তথ্য থাকে যে কুক্ষিগত রাখতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘সাগরের তলদেশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের মর্যাদাকে উন্নত করেছি। অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
স্যাটেলাইটের সুবিধা পাওয়া বিষয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্যাটেলাইট ইতোমধ্যে তার কক্ষপথে পৌঁছে গেছে। সিগন্যাল দিতে শুরু করেছে। একবার যখন কাজ শুরু করে দেবে তখন কোনও সমস্যা হবে না। কোনও সন্দেহ করার কিছু নেই। এটা নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তার দরকার নেই। আর এটুকু বলবো, না বলা কথাটি রবে না গোপনে।’