ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল, তৃণমূল বিএনপির আবেদন নাকচ



নির্বাচন ভবন

প্রশিকার সাবেক নির্বাহী প্রধান কাজী ফারুক আহম্মদের নেতৃত্বাধীন ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০০৮ সালে নিবন্ধন পাওয়া (নিবন্ধন নম্বর ২৯) ইসির চাহিদা মোতাবেক তথ্য দিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ দলটির নিবন্ধন বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে বৈঠকে নতুন নিবন্ধন পেতে আবেদন করা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপির আবেদন নাকচ করেছে ইসি।
বৈঠক শেষে কমিশন সচিব সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এর আগে ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। সবাই দিলেও ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন সময়মতো কমিশনে তথ্য না দেওয়ায় দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনে ৪২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থাকলেও স্থায়ী সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিতে না পারায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল হয়। এরপর আদালতের আদেশে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ হয়। ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিলের পর এখন ইসিতে ৩৯টি নিবন্ধিত দল থাকলো।
তৃণমূল বিএনপির আবেদন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, ‘নির্ধারিত সময়ের পরে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে একটি দলের নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেন। নির্ধারিত সময়ের পরে আবেদনটি আসায় কমিশন তা বাতিল করে দেয়। পরে তিনি আদালতে গেলে হাইকোর্ট কমিশনকে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেন। কমিশন আদেশটি বিবেচনায় নিয়ে দলটির কাগজপত্র দেখেন। আবেদনটি নির্ধারিত সময়ে আসেনি এবং সরকারি নির্ধারিত ফি জমা দেননি। তার আবেদন যাচাই-বাছাই করে আরও দেখা গেছে, নিবন্ধন দেওয়ার মতো যে তথ্য দরকার তা সেখানে নেই। তাই কমিশন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
ইসি সচিব আরও বলেন, ‘এবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৭৫টি নতুন দল আবেদন করে। সেখান থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ে ১৯টি দল বাতিল হয়। এরপর তথ্য সংশোধন করে দেয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। তাতে ৯টি দল ব্যর্থ হলে তাদের আবেদন বাতিল করা হয়। বাকি ৪৭টি দল থেকে দুটি দলের আবেদন আমলে নিয়েছে কমিশন। এখন মাঠপর্যায়ে এদের খোঁজ নেওয়া হবে।’
এর আগে দশম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগ্রহী নতুন ৪৩টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। এরমধ্যে ৪১টিই নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজেদের ‘যোগ্যতার’ প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়।
মাত্র দুটি দল শর্ত অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে কার্যালয় ও কমিটি থাকার তথ্য দিয়েছিল। এরপর তাদের নিবন্ধন দেয় কমিশন। দল দুটি হলো বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।