সড়কপথে যানজটের ভোগান্তি এড়াতে ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীদের আগ্রহ ছিল আকাশপথে। ঈদের দিনেও আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের কাছে দ্রুত যেতে উড়োজাহাজই তাদের ভরসা। যাত্রীদের চাহিদা থাকায় দেশি এয়ারলাইন্সগুলো পরিচালনা করেছে অতিরিক্ত ফ্লাইট।
দেশে চারটি এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সাতটি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে। রুটগুলো হলো— চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, যশোর, বরিশাল, রাজশাহী ও সৈয়দপুর।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, রাজশাহী, যশোর ও সৈয়দপুরে ছয়টি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে নভোএয়ার। তারা জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ঈদের দিন তাদের ১২টি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে। একটি বাদে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা ছেড়েছে বাকিগুলো। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলোতে কোনও আসন খালি ছিল না বলে দাবি নভোএয়ার কর্তৃপক্ষের। তবে ঢাকামুখী ফ্লাইটে সেই তুলনায় যাত্রী কিছুটা কম ছিল বলে জানা যায়।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজ যশোর, সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে চারটি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঈদের দিন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা। এর মধ্যে সকাল ১০টা ও দুপুর দেড়টায় ঢাকা ছেড়েছে কক্সবাজারগামী ফ্লাইট। সন্ধ্যা ৭টা ও রাত ৯টায় চট্টগ্রামগামী ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। তাদের প্রায় সব ফ্লাইটেই রয়েছে যাত্রী।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ সব রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে। ঈদের দিন সাতটি রুটে তাদের সাতটি ফ্লাইট রয়েছে। এয়ারলাইন্সটি জানায়, প্রায় সব ফ্লাইটেই ৮০-৯০ শতাংশ যাত্রী রয়েছে। ঈদের দিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা ছেড়েছে তাদের চারটি ফ্লাইট।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, বিকাল ৪টার পর সৈয়দপুর, যশোর ও চট্টগ্রামে তাদের চারটি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে গেছে। এগুলোতে যাত্রী রয়েছে ৫০ শতাংশ।
ঈদের দিন বিমানবন্দরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউল হক। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের চাপ তেমন নেই, তবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের চাপ বেশি। অবশ্য যাত্রীদের কোনও ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। তাদের নিরাপত্তায় সবসময় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।’