চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বজলুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নিয়ে অনেক দিন ধরে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছে। আগের সভাপতি মো. রশীদ আহমেদ শনিবার এশার নামাজের পর তার অনুসারীদের নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন। এরপর বর্তমান প্রিন্সিপাল সাইফুল ইসলাম গ্রুপের সঙ্গে তাদের কথাকাটাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের সাত থেকে আটজন আহত হন। রশীদ আহম্মেদসহ তার গ্রুপের তিনজন আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। অপরদিকে সাইফুল ইসলামের অনুসারীরাও কয়েকজন আহত হয়েছেন। মাদ্রাসা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় বড়কাটারা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা করবেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রশিদ আহম্মেদসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হচ্ছে। তাদের আটক দেখানো হবে।
তিনি আরও জানান, জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয় হামলার মূল হোতা রশিদ ও তার ছেলে শরীফসহ বেশ কয়েকজন হামলাকারী। জনতা মারধর শেষে চকবাজার থানায় পুলিশের কাছে হামলাকারীদের সোপর্দ করে। এ সময় মহল্লাবাসী থানা ঘেরাও করে হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
ঈদের দিন এই ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাদরাসার মুতাওয়াল্লী মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ, শঙ্কিত। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে চকবাজার থানায় মৌলবী রশিদকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।