১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ঠেকাতে পারবে না কোনও শক্তি: পরিকল্পনামন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (ফাইল ছবি)

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি কোনও শক্তিই আটকাতে পারবে না। ২০২৮-২৯ সালে আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবো। এর আগে ২০২০ সালের মধ্যে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। তবে এই ৮ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আমাদের ধরে রাখতে হবে কমপক্ষে তিন বছর। এজন্য প্রয়োজন সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া।’ মঙ্গলবার (১৯ জুন) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও কমিশনের সংস্থাগুলোর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

মন্ত্রীর ভাষ্য, ‘এটি নিছক একটি চুক্তি নয়। শুধু আনুষ্ঠানিকতাও নয়, এটি হচ্ছে নিজের বিবেকের কাছে নিজের পরীক্ষা। তবে একথা সত্যি, কাজ করার জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন হয় না। আকাশে লক্ষ তারা রয়েছে, কিন্ত একটি চাঁদের আলোয় সারা পৃথিবী আলোকিত হয়। আপনারা একেকজন একেকটি চাঁদ। আপনাদের কাজ ও আলোয় আলোকিত হবে চারদিক।

আগামীতে শিক্ষা ও রাজস্ব খাতের ব্যাপক সংস্কার করা হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তার কথা, ‘শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও বাস্তসম্মত করা হবে। রাজস্ব আদায় এমন হতে হবে, যাতে বেশিসংখ্যক মানুষ করের আওতায় আসবে ও করের হার কম হবে। তাহলে একদিকে যারা কর দেন তাদের ওপর চাপ কমবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। করের হার কমিয়েও কর রাজস্ব আদায় ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে লাইন মিনিস্ট্রিগুলোকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

পরিকল্পনা সচিব মো. জিয়াউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এ.এন. সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী, শামীমা নার্গিস, জুয়েনা আজিজ এবং পরিসংখ্য্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেদ্রনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, শিল্প ও শক্তি বিভাগ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, কৃষি, পানিসম্পদ পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগ, এনএপিডি, বিআইডিএসসহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থা প্রধানদের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।