মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিশন’ গঠনের দাবি মন্ত্রীর



মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (ফাইল ফটো)মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের প্রকৃত ইতিহাস বের করতে ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘‘এখন সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চিত্র উদ্ঘাটনের জন্য একটি ‘ফ্যাক্টস্ ফাইন্ডিং কমিশন’ গঠন জরুরি।’’ শনিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের পর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন ইনফিলট্রেটর (গুপ্তচর) ছিলেন। তিনি ছিলেন একটি সেক্টর কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা বের করার জন্য একটি তদন্ত কমিশন প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। তবে এর সঙ্গে আরও যারা জড়িত ছিলেন, তাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন। আর বঙ্গবন্ধুর হত্যার দিনে কেন ইউএসএ (আমেরিকান) ও পাকিস্তানি দূতাবাস সারারাত খোলা ছিল, এ সময় তারা কী কাজ করছিল? তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আগামী জুলাই মাস থেকে সব মুক্তিযোদ্ধাদের শতভাগ চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে। তবে এ বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের সামান্য কিছু দাবি আমলে আসেনি।’
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্বের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ‘যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের পথে দেশ এগিয়ে চলেছে। সে দিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হবে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সরকার গণমুখী বাজেট দিয়েছে। সব মানুষ এর সুবিধা ভোগ করবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেশীয় শিল্প রক্ষা করার ব্যাপারে দুই একটা ব্যত্যয় আছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু মধ্যম আয়ের দেশ হবে না। বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে জিএসপি সুবিধা হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু সরকার জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে আলোচনা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক এফটিএ অর্থাৎ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করা হচ্ছে। সব দিক থেকেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।’
বাজেট আলোচনায় আরও অংশ নেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, নুরুল ইসলাম সুজন, নজরুল ইসলাম বাবু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।