সরকারের ধারাবাহিকতা চায় জাতীয় পার্টি





সংসদ অধিবেশন (ফাইল ছবি)সরকারের ধারাবাহিকতা চেয়েছে বিরোধী দলসহ শরিক দলগুলো। শনিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এই ধারাবাহিকতার কথা বলেন সরকারের বিরোধী ও শরিক দলগুলোর সদসরা।
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকার উন্নয়ন করেনি, তা নয়। অবশ্যই উন্নয়ন করেছে। বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়ন হয় না। এজন্য আমরা বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা থাকুক, তা চাই।’ এ সময় তিনি বর্তমান সরকারকে এরশাদের আমলের উন্নয়ন স্বীকার করার আহ্বান জানান।
আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলার সমালোচনা করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত আছে। বাজেটে শেয়ার বাজারের জন্য কিছু রাখা হয়নি। বাজেট কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে জানা যাবে কারা টাকা নিয়ে গেছেন, টাকা কোথায় গেছে। শেয়ার বাজার নিয়ে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ তিনি ব্যাংক খাত সংস্কারে কমিশন গঠন, ডিজেল–কেরোসিনের দাম কমানো, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার না কমানোর প্রস্তাব করেন।
সরকার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসবে— এই প্রত্যাশা করে জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘এই সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে, যা বিশ্বের সংসদীয় রাজনীতিতে বিরল। সংসদীয় রাজনীতিতে ১৫ বছর একটানা থাকা অনেকটা অসম্ভব।’
সরকারকে সতর্ক করে বাদল বলেন, “সংসদে একটা রোগ দেখা যাচ্ছে ‘আত্মতুষ্টি’। এটা বিপদ ঘটাতে পারে।” তিনি সংসদ সদস্যদের আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হওয়ার আহআন জানান।
শিক্ষার মানের সমালোচনা করতে তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বহুল ব্যবহৃত ‘রাবিশ’ শব্দটি ধার করে বলেন, “লেখাপড়ার মান ‘রাবিশ’।”
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করে মইনউদ্দীন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষার জন্য যা করেছেন তা অকল্পনীয়। অন্য সময় হলে তিনি এর সমালোচনা করতেন।’ তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ থেকে সমস্যা আসবে। দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে। জনসংখ্যার দিক থেকে অষ্টম বৃহত্তম দেশ হিসেবে সেরকম আচরণ করতে হবে। তথাকথিত মিয়ানমারকে জবাব দিতে হবে।’