মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ডাক দিয়েছেন। যেকোনও মূল্যে আমরা দেশকে রক্ষা করবো। জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার, মাদক প্রতিরোধে যা দরকার আমরা অবশ্যই করবো।’
সারাদেশে মাদক ছড়িয়ে পড়ার কথা বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি পাড়ামহল্লায় মাদকের বিস্তার ঘটেছে।মাদকের কারণে সন্তান তার বাবা-মাকে হত্যা করছে। বাবা-মা অতীষ্ট হয়ে গ্রাম ছেড়েও গ্রামে চলে গেছেন। এই দৃশ্য আমরা দেখেছি। এ থেকে উত্তোরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা মাদকের বিরুদ্ধে টোটাল সংগ্রামে নেমেছি।’
অভিযান নিয়ে কেউ যেন ভুল না বোঝেন সেই আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম নিয়ে কারও যেন ভুল বোঝার অবকাশ না থাকে, সেই জন্য বলছি আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। জনগণকে আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি, এটা ধ্বংসযজ্ঞ। যেকোনও মূল্যে এটা বন্ধ করতে হবে। মসজিদের ঈমামদের আমরা বলেছি, নামাজের আগে মাদকের ভয়াবহতার বিষয়ে কথা বলতে। স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিদেরও এই আহ্বান জানিয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে সবাই আজ কথা বলছে।’
অভিযোগের প্রক্রিয়া তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গোয়েন্দাদের থেকে খবর নিচ্ছি, কারা মাদক ব্যবসা করে, কারা এর জন্য দায়ী। তাদের আমরা চিহ্নিত করে যাদের ধরতে গিয়েছি, তখন যারা সারেন্ডার করেছে, তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি। রেগুলার কোর্টেও তাদের সোপর্দ করেছি।’ বর্তমানে দেশে ৮০ হাজার কারাবন্দির মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি মাদকের মামলায় অভিযুক্ত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।