সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ, প্রধানমন্ত্রীর ৬ নির্দেশনা

মন্ত্রিসভা বৈঠক, ছবি: ফোকাস বাংলা

ঈদের পরে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন। এজন্য আজ সোমবার (২৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ সভায় এজেন্ডার বাইরে প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তিনি ছয়টি নির্দেশনাও দিয়েছেন।

সভাশেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানিয়েছেন। আজ মন্ত্রিসভার মিটিং হয়েছে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনে মন্ত্রিপরিষদের নতুন অফিসে।

সচিব জানান, সভা শুরুর আগে টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। এরপর তিনি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ছয়টি নির্দেশনা দেন। এগুলো হলো, ১. বাসের চালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ২. লংরুট বা দীর্ঘপথে কখনোই একজন চালক ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে বিকল্প ড্রাইভারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. রাস্তার পাশে চালক ও হেলপারদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে হবে, যেখানে তারা বিশ্রাম নিতে পারবেন এবং সেখানে তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। ৪. যাত্রীদের অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা পারাপার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫. সড়ক পথের সিগন্যাল শতভাগ মেনে চলতে হবে। সবাই যাতে সিগন্যাল মেনে চলে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ৬. প্রত্যেক পরিবহনে চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্ট বেঁধে রাখতে হবে। সিটবেল্ট না থাকলে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা ঠিকমতো বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী ও নৌপরিবহনমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন পর পর তারা একসঙ্গে বসে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করবেন।