গাজীপুরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসি সন্তুষ্ট: আ.লীগ

ইসি ও আওয়ামী লীগ

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। সোমবার (২৫ জুন) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এইচটি ইমাম বলেন, ‘গাজীপুর নির্বাচনে সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোট নিয়ে শঙ্কার কোনও কারণ দেখা যায়নি। কোনও বিশৃঙ্খলা বা সহিংস ঘটনাও ঘটেনি।’ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নির্বাচন কমিশনকে উজ্জীবিত করেছে বলে দাবি করেন এইচটি ইমাম। তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সন্তুষ্ট।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দলের বর্ধিত সভায় নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে বার্তা দিয়েছেন, তা শুনে ইসি উৎসাহিত হয়েছে। এখনও পৃথিবীতে কোনও ক্ষমতাসীন নেতা এরকম কথা বলেছেন বলে শোনা যায়নি। আমরাও এ বার্তা গাজীপুরে পৌঁছে দিয়েছি। অন্যান্য নির্বাচনেও এ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের চেষ্টা করছে।’

বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন, তা ইসি করছে। কিন্তু বিএনপি ইসিকে নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলছে। নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য সরকার ও সব রাজনৈতিক দলের চেষ্টা রয়েছে।’

গাজীপুরের এসপি হারুনকে প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা শেষ পর্যায়ে এসে প্রত্যাহারের কথা বলছেন। গাজীপুরের এসপিকে প্রত্যাহারের বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দেখাতে পারেনি। কী জন্যে তারা প্রত্যাহার চায়, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হোক। তাছাড়া, সিইসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন, তাতে সবাই ভয়ে আছে।’

গাজীপুরে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের পর বহিরাগত আওয়ামী লীগ নেতার নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি তিনি জানতেন না। তিনি না জেনে গিয়েছিলেন। তাই সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে ফিরে এসেছেন। নির্বাচন কমিশনের কাছেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন কমিশনও সন্তুষ্ট হয়েছে। সিইসি বলেছেন, আমরা এ রকম রাজনৈতিক দল চাই।’

পুলিশের গাড়িতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চড়াকে ডাহা মিথ্যা কথা দাবি করে এইচটি ইমাম বলেন, ‘তার কি নিজের গাড়ির অভাব রয়েছে যে পুলিশের গাড়িতে চড়তে হবে। তিনি কি এতই দায়িত্বজ্ঞানহীন যে পুলিশের গাড়িতে চড়তে হবে।’

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিপ্লব বড়ুয়া, রিয়াজুল কবির কাওছার।