ইমিগ্রেশন কাউন্টারটি হজযাত্রীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ধোঁয়া দেখে হজযাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় বিমানবন্দর টার্মিনালের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
তবে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুকের দাবি, ‘কোনও আগুন লাগেনি, ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু আমরা সতর্কতার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। বিমানবন্দরের ফায়ার ইউনিট ছাড়াও বাইরে থেকে ফায়ার সার্ভিস এসেছিল। এখন বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলী আহম্মদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সিলিংয়ে আগুনের কারণে সব জায়গায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এখন পরিস্থিত স্বাভাবিক।’
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন লেগেছিল। ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর বিমানবন্দরের দ্বিতীয় তলার ওসি ইমিগ্রেশন (বহির্গমন) কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড হয়। নিজেদের প্রচেষ্টায় তা নির্বাপণ করেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। সবশেষ গত বছরের ১১ আগস্ট বিমানবন্দরের মূল ভবনের তৃতীয় তলায় এয়ার ইন্ডিয়ার কার্যালয়ে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের প্রায় দু্ই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় প্রায় তিন ঘণ্টা বিমানবন্দরের বহির্গামী সব ফ্লাইটের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।