শাহজালালের ইমিগ্রেশনে আগুনের ধোঁয়া, আতঙ্কে হজযাত্রীরা

37255724_1910519258969795_3371756950374055936_nহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডিপার্চার টার্মিনালের ইমিগ্রেশন কাউন্টারের সামনে আগুনের ধোঁয়া সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার (১৫ জুলাই) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে সেখানে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার আতিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

ইমিগ্রেশন কাউন্টারটি হজযাত্রীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ধোঁয়া দেখে হজযাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় বিমানবন্দর টার্মিনালের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
শাহজালাল বিমানবন্দরের সামনে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি (ছবি: সংগৃহীত)ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, ‘কীভাবে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লো তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছি।’

তবে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুকের দাবি, ‘কোনও আগুন লাগেনি, ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু আমরা সতর্কতার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। বিমানবন্দরের ফায়ার ইউনিট ছাড়াও বাইরে থেকে ফায়ার সার্ভিস এসেছিল। এখন বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।’


ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলী আহম্মদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সিলিংয়ে আগুনের কারণে সব জায়গায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এখন পরিস্থিত স্বাভাবিক।’

ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় ইমিগ্রেশন থেকে বিমানবন্দরের বাইরে নিয়ে আসা হয় হজযাত্রীদের (ছবি: সংগৃহীত)প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ছোট আগুন থেকে সব জায়গায় ধোঁয়া ছড়ায়। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালকের মন্তব্য, ‘ইমিগ্রেশনের বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো অনেক পুরনো হওয়ায় সেগুলোতে কোনও ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সেসব বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করে দেখছি। পাশাপাশি বিমানবন্দরের লোকজনও পরীক্ষা করছেন।’
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন লেগেছিল। ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর বিমানবন্দরের দ্বিতীয় তলার ওসি ইমিগ্রেশন (বহির্গমন) কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড হয়। নিজেদের প্রচেষ্টায় তা নির্বাপণ করেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। সবশেষ গত বছরের ১১ আগস্ট বিমানবন্দরের মূল ভবনের তৃতীয় তলায় এয়ার ইন্ডিয়ার কার্যালয়ে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের প্রায় দু্ই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় প্রায় তিন ঘণ্টা বিমানবন্দরের বহির্গামী সব ফ্লাইটের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।