দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কোনও পেশাজীবী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা সনদ দিলে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছর কারাদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির অভিভাবকরা সম্পত্তি ভাগাভাগিতে কারচুপি ও চিকিৎসায় অবহেলা করলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের জেল অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘১৯১২ সালের আইনটি বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে এবং আইনটিকে যুগোপযোগী করা হয়েছে। চলমান সময়ের প্রেক্ষাপটে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ও মানুষের নাগরিক মর্যাদা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত করতে যুগোপযোগী করে আইনটি নতুন করে করা হয়েছে। এটি আজ মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি আইনের খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।’
এন এম জিয়াউল আলম জানান, এই আইনটিতে ৩১টি ধারা আছে। ধারা ৪-এ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সব কার্যক্রম পরিচালনা, সম্প্রসারণ, উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়ের দায়িত্ব সরকারের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রদান ও এ সংক্রান্ত সংক্ষুব্ধতার প্রশ্নে অধিকার সম্পর্কে এ ধারায় বলা হয়েছে।
ধারা ৫-এ স্বাস্থ্য রিভিউ মনিটরিং কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক হাসপাতাল স্থাপন, পরিচালনা ও মানসম্মত চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে বলা হয়েছে। ধারা-৮ ও ৯-এ মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির অভিভাবক নিয়োগ ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা ২০১৮’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই নীতিমালার বৈশিষ্ট্য হলো, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সেল গঠন করা হবে। এই সেল থেকে ডিজিটাল ব্যবসাগুলো রিভিউ ও মনিটরিং করা হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নারী ক্রিকেট দলকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন