‘নিবন্ধিত সব হজযাত্রীর হজযাত্রা নিশ্চিত করা হবে’



হজ ফ্লাইট (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)নিবন্ধিত সব হজযাত্রীর হজযাত্রা নিশ্চিত করা হবে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিছুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘প্রক্রিয়াগত কারণে অনেক হজ এজেন্সির টিকিট কাটা বাকি আছে। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’


সোমবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে নিবন্ধিত হজযাত্রীর বিমান টিকিট নিশ্চিতে পে-অর্ডার ইস্যু না করা ৪৩ হজ এজেন্সির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আনিছুর রহমান বলেন, ‘আপনারা মনে করছেন নয় হাজার টিকিট অবিক্রিত আছে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে চার থেকে পাঁচ হাজার টিকেট বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা করছি। এটাকে সমস্যা মনে করছিনা আমরা।’
তিনি বলেন, ‘নিবন্ধিত সব হজযাত্রীর বিমানের টিকিট নিশ্চিত হলে আজ এজেন্সিগুলোর মালিক বা কর্মকর্তাদের ডাকতে হতো না। অথচ এটা একটা ক্লিকের ব্যাপার। অন্যদিকে অস্তিত্বহীন নিবন্ধনের বিপরীতে হজ এজেন্সি মালিকরা এখন হজযাত্রী প্রতিস্থাপন (রিপ্লেসমেন্ট) চাইছেন।’
নিবন্ধিত হজযাত্রীর বিমান টিকেট নিশ্চিতে পে-অর্ডার ইস্যু না করা ৫৬টি এজেন্সিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল সোমবার। এর মধ্যে ৪৩টি এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
হজ এজিন্সগুলোর উদ্দেশ্যে সচিব আনিছুর রহমান বলেন, ‘সৌদি আরব এবার কোনও অতিরিক্ত স্লট দেবে না। আমরা দেখেছি প্রথম ও শেষের দিকে টিকিটের বেশি চাহিদা থাকে। মাঝখানের সময়ের টিকিটগুলো নিয়ে আমাদের সমস্যা হয়। কেউ বাড়ি ভাড়া না হওয়ায় টিকিট নেন না। আমরা বলি, আগে টিকিট নেন, তারপর বাড়ি ভাড়া করেন। মাথায় রাখতে হবে ১০ হাজার হজযাত্রী টিকিট না পেলে তারা হজে যেতে পারবেন না। এসব মাথায় রেখেই সবাইকে কাজ করতে হবে।’
এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে সভায় টিকিট না কাটা হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট দাবি করা হয়। হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ‘হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী মোয়াল্লেম ফি, বাড়ি ভাড়া করতে হয়। এগুলোসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় এরই মধ্যে সৌদি সরকারকে পরিশোধ করা হয়েছে। অনেক এজেন্সি বলেছে, রিপ্লেসমেন্ট যদি দেন যাবে, না দিলে যাবে না। কেউ বলেনি দিতে হবে। এখান থেকেও বোঝা যায় ওইগুলো ড্রপ (হজে না যাওয়া) করবে। ড্রপ করলে দেখা যাবে সাত থেকে ১০ হাজার যাবেন না। আশা করি যৌক্তিক বিষয় নির্ধারণ করে এজেন্সিগুলোকে রিপ্লেসমেন্টের সুযোগ দেওয়া উচিত।’
এর আগে গত ২১ জুন ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে সতর্কতা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, হজ এজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে কোনও হজযাত্রী এবার হজে যেতে ব্যর্থ হলে তাদেরই এর দায় বহন করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) আরও ৮৮ হজ এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক ডেকেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।