ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপায়ণের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ই-পাসপোর্ট চালু করতে জার্মান কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানির সঙ্গে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর জিটুজি'র ভিত্তিতে টার্ন কি পদ্ধতিতে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নে থেমে নেই বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত ২ কোটিরও বেশি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া হয়েছে এবং ১১ লাখেরও বেশি মেশিন রিডেবল ভিসা বিদেশিদের দেওয়া হয়েছে। তবে এমআরপি পাসপোর্ট এখন বন্ধ হয়ে যাবে না। ই-পাসপোর্ট সম্পূর্ণরূপে চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি চালু থাকবে।’
জার্মানির পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নেইলস আনেন বলেন, ‘খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর অগ্রগতি অর্জন করছে। এই চুক্তির মাধ্যমে জার্মানির কোম্পানির সহায়তায় বাংলাদেশ তার চ্যালেঞ্জের পক্ষে আরও এগিয়ে যাচ্ছে। জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানির বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা এর আগেও আছে। আর আমরা বাংলাদেশিদের এ কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে সাহায্য করবো।’
ই-পাসপোর্ট চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ভেরিডোস কোম্পানির সিইও কুনসসহ অনেকে। এছাড়াও পাসপোর্ট অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে জানানো হয়, জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানি ৩ কোটি ই-পাসপোর্ট বুকলেট সরবরাহ করবে। ঢাকার উত্তরায় বুকলেটের জন্য একটি অ্যাসেম্বলি কারখানা স্থাপন করা হবে। এতে বুকলেটের খরচ অর্ধেকেরও কম হবে। ৫০টি ই-গেট দেওয়া হবে। সব সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক ১০ বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ সেবা প্রদান করবে। একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ ডাটা সেন্টার ও একটি ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার এবং অত্যাধুনিক পার্সোনালাইজেশন সেন্টার নির্মাণ করা হবে। পার্সোনালাইজেশন সেন্টারে ৮টি প্রিন্টিং মেশিন থাকবে এবং যার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রতি শিফটে ৩০ হাজারেরও বেশি পাসপোর্ট প্রিন্ট করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশে ৭২টি পাসপোর্ট অফিস, বিদেশে ৮০টি মিশন, ৭২টি এসবি/ডিএসবি অফিস, ২২টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ সকল অফিসে প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্ক প্রদান করবে। এই প্রকল্পের আওতায় ১০০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জার্মানিতে দুই সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।