হজ ব্যবস্থাপনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ

সাংবাদ সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রীএ বছরের হজ ব্যবস্থাপনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সহযোগিতা না পাওয়ায় হজ গমনেচ্ছুদের পাসপোর্ট যাচাই-বাছাইয়ে দীর্ঘসূত্রতা হয়েছে বলে জানান ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান। শনিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় বেইলি রোডে মন্ত্রীর বাসভবনে হজ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে হজ এজেন্সিগুলোকে তিন শর্তে আরও চার শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সুযোগের ঘোষণা দেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের আরও সুযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। প্রতিস্থাপনের সুযোগ পেলে যথাসময়ে টিকিট সংগ্রহ করা হবে বলে তারা জানান। সামগ্রিকভাবে পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, নির্ধারিত চার শতাংশের বেশি প্রতিস্থাপন করা না হলে হজযাত্রীর কোটা অপূর্ণ থেকে যাবে। বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত কোটা যাতে অপূর্ণ না থাকে, কোটার সমসংখ্যক বাংলাদেশি হজযাত্রীকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে এবং সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সরকার শর্তসাপেক্ষে আরও চার শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’

ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘এবার এক লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রী রয়েছে। তাদের পাসপোর্ট যাচাই-বাছাই করতে আমাদের তিন মাস সময় লেগেছে। পুরো কাজটি ম্যানুয়ালি করতে হয়েছে। একটি একটি করে খুঁজে যাচাই-বাছাই করতে হয়েছে। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসের সঙ্গে হজ ব্যবস্থাপনার ইন্টিগ্রেশন থাকলে এ কাজ করতে আমাদের কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতো। তখন ন্যাশনাল আইডি নম্বর অথবা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে চেক করা যেত, একই পাসপোর্ট নম্বরের বিপরীতে একাধিক আবেদন আছে কিনা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এমনও পেয়েছি, একই পাসপোর্ট নম্বরে দুজন রয়েছেন। মানে একজনের পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে একাধিক হজ রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। পাসপোর্ট অফিস যদি হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে ইন্টিগ্রেশনে থাকতো, তাহলে সহজে নির্ণয় করা যেত কোন ব্যক্তি ভ্যালিড।’

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান । তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল, তারা বলেছে নভেম্বরে এটি করে দেবে। চলতি হজ মৌসুমে করতে পারছে না।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২১ জুলাই পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনার ৬ হাজার ৪২৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৬১ হাজার ২৫ জন সর্বমোট ৬৭ হাজার ৪৫২ জন হজযাত্রীর ভিসা পাওয়া গেছে। মোট ৫১১টি এজেন্সি এক লাখ ৫ হাজার ৪৪২ জন হজযাত্রীর বিপরীতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের অনুকূলে টিকিট পাওয়ার লক্ষ্যে পে-অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে। অবশিষ্ট হজযাত্রীদের অনুকূলে টিকিট সংগ্রহের জন্য পে-অর্ডার ইস্যু করতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।