‘কোটা তুলে দেওয়ার সুপারিশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা দেখবে আদালত’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমসরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। তিনি জানিয়েছেন, কোটা একেবারেই তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে কিনা সে ব্যাপারে আদালতের কাছে সিদ্ধান্ত চাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার (১৩ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।

সচিব বলেন, ‘আমরা কোটার বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলেছি। মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে কোটা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছি। যেহেতু মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে আদালতের একটা অবজারভেশন আছে, বিষয়টি আমরা পরিষ্কার বুঝি নাই। তাই আমরা এ ব্যাপারে আদালতের মতামত চাওয়ার সুপারিশ করেছি। আদালত যদি বলে থাকবে, তাহলে এই কোটা থাকবে। আর আদালত যদি বলে থাকবে না, তাহলে থাকবে না।’

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কী ব্যবস্থা রেখেছেন—এই প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি এখন আর কেউ পিছিয়ে পড়া নেই। সবাই এগিয়ে গেছে। কাজেই আমরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোনও কোটা রাখার সুপারিশ করিনি।’

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ শতাংশ, জেলা কোটায় ১০ শতাংশ, নারী কোটায় ১০ শতাংশ ও উপজাতি কোটায় পাঁচ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে এক শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে মোট কোটা দাঁড়ায় ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ পদে নিয়োগ পান মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীরা। এই কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবির মুখে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সরকার।

আরও পড়ুন- কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপনে কেন এত বিলম্ব