শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দ্র মজুমদার, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবীর, আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহমেদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের পক্ষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, আরটিভি, পুলিশের পক্ষে আইজি, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, প্রকাশক এ কে আজাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ অনেকে।
এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গোলাম সারওয়ার বাংলাদেশের একজন গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি একজন আপসহীন কলমযোদ্ধা তা আমরা তার লেখনীর মাধ্যমে জানি। তিনি সবার কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। ভালো মানুষগুলো কেন জানি আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে। আমার কাছে খুব খারাপ লাগছে। একথা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘সারওয়ার ভাই সাংবাদিক জগতের কিংবদন্তি হয়েছিলেন। অসময়ে চলে গেছেন তিনি, আমরা এরকম আশা করি নাই। এই ক্ষতি কোনওদিন পূরণ হবে না।’
সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, ‘গোলাম সারওয়ার সাংবাদিকতাকে যেই উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তা অকল্পনীয়। তিনি ছিলেন সাংবাদিকতার বাতিঘর। যে আলো তিনি জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন সে পথেই আমরা চলবো।’
এর আগে গোলাম সারওয়ারকে শেষবারের মতো তেজগাঁওয়ে তার প্রিয় কর্মস্থল সমকালের প্রধান কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৩ আগস্ট) রাত ৯টা ২৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাম সারওয়ারের মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ৩০ জুলাই থেকে ফুসফুসের ইনফেকশন ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হন গোলাম সারওয়ার। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ৩ আগস্ট শুক্রবার রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। তিনি সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।