রাস্তার ওপর পশু কোরবানি দেবেন না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফাইল ছবি)দেশের কোথাও খোলা জায়গায় কোরবানির পশু জবাই না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।  তিনি বলেন, ‘দেশের কোথাও রাস্তার ওপরেও পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ে।’ বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক  অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ঈদুল আজহার সময় নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশনগুলোর কর্মপরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হয়।  

সভায় জানানো হয়, চলতি ২০১৮ সালের কোরবানিতে দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন এলাকায় পশু কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৯৫৪টি। এর বাইরে সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনও স্থানে পশু কোরবানি না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  একইসঙ্গে কোরবানির পশুর বর্জ্য  দ্রুত অপসারণে নগরবাসীকে সহায়তারও অনুরোধ করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশেন এলাকায় নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলুন। দেখবেন সঠিক সময় নগর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে।’

পর্যালোচনা সভায় জানানো হয়, এসব স্থানে সাত লাখ ৬৭ হাজার ৯৩৭ পশু কোরবানি হতে পারে। এ ছাড়া এবার সিটি করপোরেশনগুলোয় গরুর হাটের সংখ্যা ৯৪টি।

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের পর জবাই করা স্থানে ব্লিচিং  পাউডারসহ জীবাণুনাশক ছিটিয়ে তা পরিষ্কার করার কথাও বলেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। কোরবানির বর্জ্য নির্দিষ্টস্থানে ফেলতে পরিথিনের ব্যাগ ব্যাহারেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গতবছরের মতো এ বছর নগরবাসীর মধ্যে ২ কোটিরও বেশি পরিমাণের পলিথিনের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, আগামী ২২ আগস্ট ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এ উৎসবে মুসলমানরা তাদের প্রিয়বস্তু মহান আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে তার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করবেন।