সরকার আর সংসদ চাইলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম: সিইসি

সিইসি নূরুল হুদা, ছবি- সংগৃহীতআইন প্রণয়ন, অংশীজনের সমর্থন ও সক্ষমতা অর্জনসহ পরিবেশ অনুকূলে থাকলেই জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ‘সংসদ নির্বাচনে ইভিএম দূরের কথা’ মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘সরকার আর সংসদ যদি মনে করে তাহলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। আর সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা যতটুকু সম্ভব ততটুকু ইভিএম ব্যবহার করবো। আমরা র‌্যানডম ভিত্তিতে এটার ব্যবহার করবো। যদি ২৫টি আসনে ব্যবহার করি, তা পূর্ব থেকে নির্ধারণ করবো না। এটা র‌্যানডম ঠিক করবো।’

আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) ভবনের সম্মেলন কক্ষে সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দুদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

ইভিএম নিয়ে ভোটার ও রাজনৈতিক মহলে উৎকণ্ঠা থাকাকে স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলে ইভিএম নিয়ে উৎকণ্ঠা বা জানার আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। কারণ, আমরা এটির ব্যবহার, উপকারিতা সম্পর্কে এখনও তাদের জানাতে পারিনি। পর্যায়ক্রমে তারা সব জানতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনও উদ্যোগ, নতুন আবিষ্কার বা প্রযুক্তি—তা জানার উৎকণ্ঠা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এটা আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখি। যারা ভোট দেবেন বা ট্যাক্স হোল্ডারদের টাকা অপচয় হবে কিনা, এটা জানতে চাইবেন এটা স্বাভাবিক।’

সিইসি আরও বলেন, ‘প্রযুক্তি এখন আর বাক্সের মধ্যে বন্দি নেই। এটি এখন মানুষের হাতে হাতে। মোবাইলের মাধ্যমেই আমরা এখন নব্য তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি।’

বিদ্যমান ভোটিং ব্যবস্থার সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাজার রকমের জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়। চিন্তায় থাকতে হয় কেন্দ্রে পৌঁছানোর সময় ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়ে যাবে কিনা। প্রযুক্তির ব্যবহার হলে এসব জিনিসপত্রের প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া, নির্বাচন পরিচালনায় ৭০ ভাগ খরচ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য। ইভিএমে এই খরচ কমে আসবে।’

সিইসি আরও বলেন, ‘ইভিএম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার হবে কী হবে না, সেটির চিন্তা আরও পরে হবে। যদি আইন হয়, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় এবং সব মহলে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায়, তার ওপরে নির্ভর করবে।’

ইভিএম কেনার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম কেনার বিষয়ে আমাদের কোনও তহবিল থাকবে না। এটা অর্থ মন্ত্রণালয় ও সরকার দেখবে। এ বিষয়ে আমরা চিঠি দিয়ে ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে মিটিং করে জানিয়েছি।’

ইটিআইর মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ইসি সচিব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।