গুজবের কালো থাবা থেকে ফেসবুককে রক্ষা করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

‘গুজব: গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুবিএনপি-জামাত-সাম্প্রদায়িক জঙ্গিচক্র গুজবের কারখানা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ‘এদের কালো থাবা থেকে ফেসবুক-সামাজিক মাধ্যমকে রক্ষা করতেই হবে।’ মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে তথ্য অধিদফতর আয়োজিত ‘গুজব: গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার বিচারের আদালত নিয়েও গুজব-মিথ্যাচার চলছে। আদালত কোথায় বসলো, সেটা বিচার্য নয়, আদালত প্রকাশ্য কিনা, সেটাই বিচার্য।’ তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ওপর একটি জাতীয় প্রচার অভিযান ও সংবাদপত্র, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ সব বেতার ও অনলাইন গণমাধ্যমগুলোয় একযোগে গুজব, মিথ্যাচার, উসকানি ও তথ্যবিকৃতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।’

‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানেই ধর্মহীনতা’, ‘সমাজতন্ত্রী মানেই নাস্তিক’, ‘জয় বাংলা মানে হিন্দুয়ানি’ বা ‘বাঙালিত্বের চর্চা ধর্মবিরোধী’-এ ধরনের মিথ্যাচার চলে আসছে  জানিয়ে ইনু বলেন, ‘‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ‘মুক্তিযোদ্ধারা ইসলাম ধ্বংস করে ফেলছে’ তৎকালীন মুসলিম লীগ এ ধরনের মিথ্যাচার করেছে, বাঙালি তাতে কান দেয়নি। এখনও ‘শিল্পের চর্চাকারি নারী-পুরুষ মুরতাদ ও ইসলামের শত্রু’ বলে জঙ্গিরা মিথ্যাচার করছে।’’

বাংলাদেশবিরোধী চক্রের প্রধান হাতিয়ার মিথ্যাচার, তথ্যবিকৃতি, তথ্য ধামাচাপা দেওয়া, চরিত্রহনন বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নামে-বেনামে, দেশ থেকে বা বিদেশ থেকে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী এই অপকর্মে লিপ্ত। এরা আসলে অপরাধী বলেই তারা নিজনাম গোপন রেখে ভিন্ন নামে মিথ্যা তথ্য ছড়ায়। এ অপপ্রচার থেকে রেহাই পেতে ‘ডিজিটাল লিটারেসি’র বিকল্প নেই।’’

প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও তথ্য সচিব আবদুল মালেক প্রমুখ।