জাহেদ-উর রহমান বলেন, ’ জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য বড় দুটি দল কিন্তু বহুদিন ধরে রাজনীতি করছে। এই দলগুলোকে নিয়ে অনেকেই নানা কথা বলছেন। যখন জোট হচ্ছে, যখন আমরা গণফোরামের সঙ্গে বসছি, দলের পজিশন কখন কোনও দিকে যাচ্ছে তা তারা খেয়াল করছে। গণমাধ্যমগুলোই সেগুলো নিয়ে লিখছে। কিন্তু আমি মনে করি, এটা এক ধরণের বিদ্রুপ। শুনতে অবাক লাগতে পারে তবু আমি এই বিদ্রুপগুলো নিয়ে আনন্দবোধ করছি।’
নাগরিক ঐক্যের এই রাজনীতিকে আরও বলেন, ‘বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে সরিয়ে রাখি। পত্রিকায় দেখেছি আওয়ামী লীগ এবারের নির্বাচনে অন্যান্য দলের জন্য ৬০ থেকে ৬৫ আসন ছাড় দেবে। কিন্তু এ সংখ্যা হয়তো বাড়তেও পারে। এর মধ্যে দেখা যাবে নিজে ভোট করে জিততে পারে এমন দল তেমন নেই। ফলে জোট করতে হচ্ছে। এই জোটে ছোট দলগুলো যুক্ত হলে, কিছু অঞ্চলের মানুষের মধ্যে পজিটিভ ইমেজ তৈরি করে। আর সে কারণেই তাদেরকে জোটে নেওয়া হয়।’
এটিএন নিউজ এর প্রধান নির্বাহী মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নেন– বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকার এবং বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল।