উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী হোটেলটির বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে সারা বিশ্বের সাংবাদিকরা এই হোটেলে অবস্থান করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর সাংবাদিকরা এখানে সমবেত হন সংবাদ সংগ্রহের জন্য। জুলফিকার আলী ভুট্টো এই হোটেলে এসেছিলেন এবং এখান থেকে ২৫ মার্চ গণহত্যার নির্দেশ দেন। এসব দিক থেকে এই হোটেলটি অনেক স্মৃতি বহন করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় এই হোটেলে যে সাংবাদিকরা ছিলেন তাদের সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়া হতো। সেখানে তাদের আটকে রাখা হতো। সায়মন ড্রিং একমাত্র সাংবাদিক যিনি সেখান থেকে বেরিয়ে ২৫ মার্চের গণহত্যার তথ্য সারা পৃথিবীকে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় এই হোটেলে দুবার হামলা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে মিন্টো রোডে চালু হয় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল। ইন্টারকন্টিনেন্টাল গ্রুপ ১৯৬৬ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত এ হোটেলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল। পরে আন্তর্জাতিক হোটেল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘শেরাটন’ হোটেলটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়। ২০১১ সালে শেরাটন এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। তখন সরকারি কোম্পানি বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড ‘রূপসী বাংলা’ নামে হোটেলটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়।
এরপর ২০১২ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল গ্রুপ পুনরায় এই হোটেল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এ অবস্থায় ২০১২ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টালের সঙ্গে চুক্তি হয় এবং ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হোটেলটির সংস্কার শুরু হয়। চার বছর সংস্কার কাজ শেষে ফের পুরনো নামে চালু হলো হোটেলটি।