রোহিঙ্গা বসতির জন্য কক্সবাজারের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে: ইউএনডিপি

উখিয়ার বালুখালী এলাকায় রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী বসতিরোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়স্থল তৈরি, রান্নার কাঠ সংগ্রহ এবং অন্যান্য সুবিধা দিতে গিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৪৩শ’ একর পাহাড় ও বন কেটে ফেলা হয়েছে। এতে পরিবেশগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশের তিনটি স্থানের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে যে ক্ষতি হচ্ছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে পরিবেশগত প্রভাব’ বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইউএনডিপি ও ইউএন ওম্যান যৌথভাবে এই জরিপ পরিচালনা করেছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব আব্দুল্লাহ আল মহসীন চৌধুরীসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

কক্সবাজারে আগে থেকে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা, স্থানীয় অধিবাসী এবং গত বছরের আগস্ট থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মিলে এখন সেখানে ১৫ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বসবাস। এতে এই এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশের ওপর দারুণ নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সরকার মূলত মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু ১১ লাখ রোহিঙ্গা সেখানে আশ্রয় নেওয়ায় এখন সেখানকার পাহাড়ি জমি নষ্ট হচ্ছে। গাছ কেটে ফেলার কারণে পাহাড় ও পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। অল্প জায়গায় অধিক মানুষ থাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং অগ্নিনিরাপত্তার অভাব দেখা দিয়েছে।

পরিবেশগত ক্ষতি রোধ করতে তিনি এই এলাকায় বনজ ও ফলদ গাছ লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যেসব এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে সেখানকার স্থানীয়রাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এজন্য তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। খবর বাসস।