উগ্র ও ভুয়া কনটেন্ট তৈরিতে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা জড়িত: হানিফ

মাহবুব উল আলম হানিফআওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্রতা, ভুয়া কনটেন্ট তৈরির পেছনে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীরা জড়িত। এসবের সঙ্গে ইসলাম, মুসলিম, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কওমি মাদ্রাসা কোনোভাবেই জড়িত নয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর বারিধারার কূটনীতিকপাড়ার একটি হোটেলে মুভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্রবাদ ও ভুয়া কনটেন্ট: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান।

হানিফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্মীয় উসকানি দিয়ে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছিল, তার সুবিধাভোগী হলো বিএনপি জামায়াত। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গুজব ছড়িয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রও করা হয়েছিল। এসবের পেছনে রাজনৈতিক সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল। জামায়াত সহযোগিতা করেছে আর লন্ডন থেকে ফোন করে উসকানিও দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানিতে আগে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনার সুবিধাভোগী কারা তা বের করতে হবে। তাহলে কারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা বের হয়ে আসবে।

মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে হানিফ বলেন, ‘যে কেউ তার নাম ও পরিচয় প্রকাশ করে মত প্রকাশ করতেই পারে। তবে কেউ নাম পরিচয় গোপন করে ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে না। যদি এটা কেউ করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সচেতন হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। এটি ব্যবহারে আরও সচেতন হওয়া উচিত। আর এর ব্যবহারে নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কেও জানা থাকা দরকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন আমাদের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করেছে, তেমনি পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধও কমিয়ে দিয়েছে।’ খবর বাসস