নতুন এমপিওভুক্তির আবেদন ৯৪৯৮, চলছে যাচাই-বাছাই




শিক্ষা মন্ত্রণালয়

নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য ৯ হাজার ৪৯৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এসব আবেদন মাঠ পর্যায়ে সরেজমিনে যাচাই-বাছাইয়ের পর উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেওয়া হবে। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৯ টি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

গত ৫ থেকে ২০ আগস্ট বেসরকারি স্কুল ও কলেজের কাছ থেকে অনলাইনে এমপিভুক্তির আবেদন নেওয়া হয়। এখন চলছে যাচাই-বাছাই। অনলাইনে আবেদনের পর যেসব প্রতিষ্ঠান নম্বর পেয়ে যোগ্যতায় টিকেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে সরাসরি গিয়ে যাচাই-বাছাই করবে কমিটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।   

শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৯ হাজার ৪৯৮টি আবেদন জমা পড়েছে। সেসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এমপিও দেওয়া অব্যাহত থাকবে।’

কত প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী জানান, অর্থ ছাড়ের ওপর সেটা নির্ভর করবে। আমরা চেষ্টা করছি বেশি অর্থ নেওয়ার।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকরি শিক্ষকদের পাঁচ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, উৎসব ভাতা, ইনক্রিমেন্টসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়াগুলো বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইনক্রিমেন্ট, উৎসব ভাতা, কল্যাণ তহবিলের জটিলতা দূর করার কাজটি সরকারের বিবেচনায় আছে, পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে।’

বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোল্লা জালালউদ্দিন, অতিরিক্ত নাজমুল হক খান, বাংলাদেশ কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলম সাজু, স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  কর্মচারী  ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহজাহান খান এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছিনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজীসহ শিক্ষক-কর্মচারী সব সংগঠনের নেতা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিতি ছিলেন।