অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের মাথাপিছু আয় ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৭০৩ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭-২০ ১৮ অর্থবছরে ১৭৫১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
মন্ত্রনালয়ের অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, কার্যকর পদক্ষেপ এবং দীর্ঘমেয়াদী নীতি প্রণয়নের ফলে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, খাদ্য উৎপাদন, রেমিটেন্স, মুদ্রাস্ফীতি, আমদানি ও রফতানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন আর্থসামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে।
২০০৯ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.০৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে ৭.৮৬ শতাংশ হয়েছে। এসময় রেমিটেন্স প্রবাহ ৯৬৮৯.২৬ মিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৯৮১.৬৯ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৭৪৭০.৯০ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৩২৯৪৩.৫০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, সরকারের পরিচ্ছন্ন এবং দারিদ্র্যমুখী নীতি কর্মসূচি গ্রহণ দারিদ্র্য হ্রাসে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হয়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর গবেষণা পরিচালক খন্দোকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি গত ১০ বছরে ইতিবাচক অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশ সাফল্যজনকভাবে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। খবর বাসস।