জলবায়ুর প্রভাবে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জিডিপি কমবে ৬.৭০ শতাংশ

জলবায়ু সংক্রান্ত জাতিসংঘের প্রতিবেদন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার তথা বাংলাদেশের এক কোটি ৩৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের জীবনযাত্রার মান নেমে যাবে। গত ৬০ বছরে এই অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এতে কৃষি খাতসহ বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। এর প্রভাবে বাড়ছে দরিদ্রতা। এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬.৭০ শতাংশ কমে যাবে। এমনটাই বলা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের 'জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত দক্ষিণ এশিয়ার অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ'-এর প্রভাব শীর্ষক প্রতিবেদনে।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস। এ উপলক্ষে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিনিয়াও ফান। এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. খলীকুজ্জমান আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিনিয়াও ফান বলেন, ‘গত ৪০ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের ৬৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায়। বিশ্বব্যাংকের এখন সহায়তার অগ্রাধিকার খাত হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। কারণ, এতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো ক্ষতি হচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান কমে যাচ্ছে।’

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হচ্ছে কক্সবাজার ও বান্দরবান। এ অঞ্চলে শরণার্থীরা বসবাস করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধস ও বন্যার ঝুঁকিও আছে।’

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘এই সরকারের পরবর্তী ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার টার্গেট আছে। কারণ, এই সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে চায়। বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নের সব সূচক ইতিবাচক। তবে বিশ্বব্যাংক যে সহায়তা করতে চায়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রত্যাশা হচ্ছে স্বল্পসুদে ঋণ।’