ফ্রান্সের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২২০ কোটি টাকা দিতে হবে ইসির


নির্বাচন ভবনজাতীয় পরিচয়পত্রে স্মার্টকার্ড সরবরাহকারী ফ্রান্সের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবার্থুর টেকনোলজিকে (ওটি) ২২০ কোটি টাকা (২৬ মিলিয়ন ডলার) দিতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। বুধবার (১০ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে দিনভর সমঝোতা বৈঠকে এ পরিমাণ অর্থ দেওয়ার বিষয়ে ইসি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সম্মত হয়।
আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ায় পুরো টাকাই বাংলাদেশ সরকারকে পরিশোধ করতে হবে। সমঝোতা বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতসহ উভয়পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, নির্দিষ্ট সময়ে স্মার্টকার্ড দিতে না পারার ব্যর্থতা এনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছিল আইডিইএ প্রকল্প। ওই সময়ে জানানো হয়েছিল, শর্ত অনুযায়ি নির্দিষ্ট সময়ে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ ও পারসোনালাইজেশন করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ ১৪০ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে। কিন্তু বুধবারের সমঝোতার পর উল্টো ২২০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে ইসিকে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইসি ও ওবার্থুর মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। আমরা কিছু যৌথ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি।’
ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর ২৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রথমে ৫৬ মিলিয়ন ডলার, পরে ৪১ মিলিয়ন ডলার দাবি ছিল। আমরা তাদের শর্তভঙ্গ ও বিভিন্ন দুর্বলতার দিক তুলে ধরেছি। পরে ২৬ মিলিয়ন ডলারে সমঝোতা হয়েছে।’ তিনি জানান, ‘এ টাকা রাজস্ব খাত থেকে পরিশোধ করতে হবে।’
সমঝোতার ফলে বিষয়টি জটিলতাটি নিরসনের পাশাপাশি দেশের ১৩১ কোটি টাকা বেঁচে গেছে সাইদুল ইসলাম দাবি করেন।