এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্বাসকে এবারের পূজার শ্রেষ্ঠ উপহার বলে অভিহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা নিরাপদে যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবেন। কারা সংখ্যায় বেশি, কারা কম, সেটা বড় কথা নয়। যে যার ধর্ম উৎসবের সঙ্গে স্বাধীনভাবে পালন করবেন। সেটা নিশ্চিত করা নিয়েই বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা সবাই এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সব উৎসব পালন করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মসজিদ ভিত্তিক যেমন গণশিক্ষা চালু করেছি, তেমনি মন্দিরভিত্তিকও ধর্মীয় শিক্ষা চালু করেছি। সেবায়েত-পুরোহিতদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যেক ধর্মের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছি।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের মানুষের ওপর হানাহানি, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা সবাই রুখে দাঁড়িয়েছি। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলেই আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পেরেছি। সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে ধর্ম পালন করছে।’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে বলেই মানুষ নিরাপদে পূজা পালন করতে পারছে বলেও প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।