বান কি মুন সোমবার (১৫ অক্টোবর) নেদারল্যান্ডসে গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা মেকাবিলায় জিসিএ একটি নুতন উদ্যোগ। এই উদ্যোগের কনভেনার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সেনেগাল, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, কোস্টারিকা, মাশার্ল দ্বীপ, আর্জেন্টিনা, চীনের প্রধানমন্ত্রী, জামার্নির চ্যান্সেলর, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী, ভারত, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, ইথিয়পিয়া এবং গ্রেনাডা।’
বান কি মুন বলেন, উন্নয়নশীল বিশ্বে বেসরকারি তহবিল গঠন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও অর্থ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে কনভেনর হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিকারী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সমস্যা সমাধানে লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক তহবিল জরুরি। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর উপস্থিতি তুলে ধরে বলেন তাদের উপস্থিতি বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একটি পরিবেশ বান্ধব ও অখণ্ড দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুর সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও সম্পৃক্ত করবে বলে পরিবেশ মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। যেখানে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাবে। খবর বাসস।