ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দফতর ব্রাসেলসে ১৮ ও ১৯ অক্টোবর দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত আসেম সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আঁলা বেরসে এ আশ্বাস দেন।
সুইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার আন্তরিক প্রচেষ্টাসহ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় আমি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পূর্ণ সমর্থনের জন্য সুইস প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষীয় উভয় ক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
প্রেসিডেন্ট বেরসে গত ৪-৭ ফেব্রুয়ারি তার বাংলাদেশ সফর খুব সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
১৯৭২ সালে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এরপর বেরসেতের ওই সফর ছিল বাংলাদেশে কোনও সুইস প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর।
সফরকালে সুইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির ও সুইজারল্যান্ডের সহায়তায় পরিচালিত একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
আসেম সম্মেলনে সম্প্রতি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করেন সুইস প্রেসিডেন্ট। তিনি দুই দেশের মধ্যকার চলমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এছাড়া ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ১২তম আসেম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এতে ৪৫টির বেশি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। খবর বাসস।