শিশু একাডেমি বিল সংসদে





সংসদ অধিবেশন (ফাইল ফটো)রবিবার (২১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বিল ২০১৮’ উত্থাপিত হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বিলটি উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা করে দুদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অধ্যাদেশ ১৯৭৬ বাতিলে বিধানগুলো বিবেচনাক্রমে সময়ের চহিদার প্রতিফলনে এই আইনটি আনা হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় এই আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
প্রস্তাবিত আইনে শিশু একাডেমির বিদ্যমান পরিচালক পদটি মহাপরিচালক পদ হিসেবে সৃষ্টির বিধান রাখা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুদের সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক বিনোদনও শিক্ষামূলক কর্ম তৎপরতার উন্নয়ন, শিশুতোষ সাহিত্য সৃষ্টি এবং জাতিসংষের শিশু অধিকার সনদের আলোকে শিশুর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশসহ গবেষণা ও প্রকাশনার কার্যাবলী সম্পাদন করবে। শিশুর সামগ্রিক কল্যাণে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে ভাষা সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, শিল্পকলা ও সামাজিক ক্ষেত্রে মৌলিক অবদান রাখার জন্য সাম্মানিক ফেলো প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘একাডেমির অন্যান্য বার্যাবলীর সঙ্গে শারীরিক বিকাশ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ বিপর্যয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি বিষয়ে শিশুদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণের বিষয় অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে।