ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড বিল পাস

জাতীয় সংসদ (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)অনুমোদনহীন বাটখারা (ওজন মাপার যন্ত্র) উৎপাদন, ব্যবহার ও পণ্যের ওজনে অনিয়মের সাজা বাড়িয়ে সংসদে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড বিল-২০১৮’ বিল পাস হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সংসদে বিলটি প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির সম্পর্কে জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।

এরআগে, গত ১২ সেপেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়।

১৯৮২ সালের ‘স্ট্যান্ডার্ড অব ওয়েট অ্যান্ড মেজার্স অর্ডিন্যান্স’ সংশোধন ও পরিমার্জন করে সময়ের চাহিদার আলোকে বাংলা ভাষায় আইনটি করার জন্য এই বিলটি পাস হয়েছে।

পাস হওয়া বিলে আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আর্থিক শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মানদণ্ডহীন বাটখারা বা পরিমাপক ব্যবহারের শাস্তি অনূর্ধ্ব একবছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ড বাড়িয়ে একলাখ টাকা করা হয়েছে।

কোনও ব্যক্তি যদি ওজন বা পরিমাপ সম্পর্কিত মডেল অনুমোদনের সনদ ছাড়া তা বিক্রি, বিতরণ, সরবরাহের জন্য তৈরি করেন, তাহলে অনূর্ধ্ব দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। লাইসেন্স ছাড়া ওজন বা পরিমাপ যন্ত্র বিক্রি করলে, উৎপাদন করলে অনূর্ধ্ব ১ বছরের কারাদণ্ড বা একলাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এতে বলা হয়েছে, কেউ অনুমোদন বহির্ভূত বস্তু দ্বারা ওজন বা পরিমাপ তৈরি বা উৎপাদন করলে একলাখ টাকা বা ৩ বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মানদণ্ড ছাড়া, অন্য কোনও ওজন বা পরিমাপ ব্যবহার করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার জরিমানার বা উভয় দণ্ডে বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক মান সংস্থাসহ (আইএসও) অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নিয়মকানুন এ আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মানদণ্ড একক ছাড়া মুখের ভাষায় বা ভিন্নভাবে মূল্য বা চার্জ ঘোষণা করা যাবে না বলে পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্যের দেশি ও বিদেশি বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যাবে। বাংলাদেশি পণ্য ও সেবার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রত্যয়নপত্র পাওয়া সহজ হবে।’