জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংস্কার ও সমন্বয় সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের জন্য ২০৩টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের তথ্যমতে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য যুগ্ম-সচিবসহ বিভিন্ন পদে মোট ২৯ জন, নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে উপ-পরিচালকসহ ৪২ জন, মাঠপর্যায়ের জেলা নির্বাচন অফিসে ৬৫ জন, উপজেলা নির্বাচন অফিসে ১০৬৭ জনসহ মোট ২০০৩টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি।
সূত্রমতে, গত ১৫ অক্টোবর কমিশন সচিবালয়, নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, মাঠপর্যায়ের জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের জন্য ২০০৩ জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব করে নির্বাচন কমিশন সচিব। এরআগে, জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নেয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ১ নভেম্বরে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় উত্থাপন করে। কমিটির সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এরআগে, গত ৪ অক্টোবর কমিশনের নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশাসনিক সংস্কার, পুনর্বিন্যাস ও দক্ষতা উন্নয়ন কমিটির প্রধান ও কমিশনার মাহবুব তালুকদার এ জনবল বাড়ানোর সুপারিশ করার কথা বলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেই এসব জনবলের পদায়ন হবে বলেও ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বিদ্যামান কাঠামো অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনবল ৩৩৪ জন। এই জনবলের সঙ্গে ২৯ জন যুক্ত হলে জনবল হবে ৩৬৩ জন। নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের বিদ্যমান কাঠামোতে জনবল ৫৩ জন। এরসঙ্গে ৪২ জন যুক্ত হলে জনবল দাঁড়াবে ৯৫জন। আর মাঠ পর্যায়ের বিদ্যমান জনবল ২,৪৪২ জন। এতে ১,৯৩২ জন যুক্ত হলে মাঠ পর্যায়ে জনবল হবে ৪,৩৭৪ জন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোটার তালিকা সংশোধন, হালনাগাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনের আগে ও পরে বিভিন্ন কাজ শেষ করতে পদগুলো সৃষ্টি করা প্রয়োজন।