প্রত্যাবাসন বিষয়ে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের মতামত নিচ্ছে জাতিসংঘ

প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা রোহিঙ্গা পরিবারগুলো মিয়ানমারে ফেরত যেতে চায় কিনা তা জানার জন্য তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করেছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মাদ আবুল কালাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড় দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। টেকনাফের দিকে যাচ্ছেন এক রোহিঙ্গা বৃদ্ধা। হারিয়াখালী এলাকা থেকে তোলা ছবি।ছবি: বাংলা ট্রিবিউন

মোহাম্মাদ আবুল কালাম বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) শরণার্থী সংস্থা ১১টি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে। আগামীকাল (বুধবার) তারা আরও ১৯টি পরিবারের সঙ্গে আলাপ করবে।’  রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে চায় কিনা জাতিসংঘ সংস্থা বুধবার এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে বলেও জানান কালাম।

১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটির ফিরে যাওয়ার বিষয়ে সোমবার সম্মতি দেয় মিয়ানমার। তারপরই শরণার্থী সংস্থা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করলো। এর আগে ২৮ অক্টোবর ৪৮৫টি পরিবারের ২২৬০ জন রোহিঙ্গার তথ্য দিয়ে শরণার্থী সংস্থাকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। এরপর সংস্থাটি পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মতামত সংগ্রহ শুরু করে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৫ নভেম্বর প্রায় ৩০টি পরিবারের ১৫০ জন রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন করা হবে।

আবুল কালাম বলেন, ‘বাকি পরিবারগুলোর সঙ্গে শরণার্থী সংস্থা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবে।’

শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে করা সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, এই প্রত্যাবাসন হবে স্বপ্রণোদিত আর সংস্থাটি গোটা প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে। কালাম জানান, প্রত্যাবাসনের জন্য সরকার তৈরি আর এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, এই প্রত্যাবাসন স্থল সীমান্ত দিয়ে হবে এবং ঘুনদুম-বুথিডং সীমান্ত দিয়েই এসব রোহিঙ্গা রাখাইনে প্রবেশ করবে।

গত ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার আলোচনা করে ১৫ নভেম্বর প্রত্যাবাসনের সম্ভাব্য তারিখ হিসাবে নির্ধারণ করে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। রাখাইনে নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।