থার্টিফার্স্ট নাইট ও বড়দিনের অনুষ্ঠান উন্মুক্ত স্থানে নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আসাদুজ্জামান খাঁন কামালআগামী ২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইটে সারাদেশে আতশবাজি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও কেউ আতশবাজি করা যাবে না। সরকার এ দুই দিনের সব ধরনের উৎসবকে এ বছর নিরুৎসাহিত করছে। এরপরেও কেউ যদি কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তা করতে হবে ছাদের নিচে। বাড়ির ছাদে বা উন্মুক্ত কোনও স্থানে কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না।

রবিবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভাশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর বিকাল থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত ফাইভস্টার ও আন্তর্জাতিক হোটেলগুলো ছাড়াও সব বার বন্ধ থাকবে। থার্টিফার্স্ট নাইটে কোনও বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। ওই রাতে আতশবাজি, পটকা, বেলুন, ফানুস ওড়ানো যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর দিন ও রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না। থার্টিফার্স্ট নাইটে কোনও হোটেলে গ্যাদারিং সৃষ্টি করে ডিজে পার্টি করা যাবে না। কোনও হোটেলে ডিজে পার্টি করা যাবে না। হোটেলগুলো তাদের পার্কিংয়ের বাইরে অন্য কোনও স্থানে অবৈধভাবে গাড়ি পার্ক করতে পারবে না। এটাও আমরা নিয়ন্ত্রণ করবো।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বড়দিন উপলক্ষে এ বছর চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হচ্ছে। তারা আইনশৃঙ্থলা বাহিনীর সঙ্গে থেকে একযোগে কাজ করবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যেভাবে চাইবে সেভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেওয়া হবে। তবে নির্বাচন কমিশনের জন্য এ পর্যন্ত ৫ লাখ ফোর্স প্রস্তুত রয়েছে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজি, র‌্যাবের ডিজি, বিজিবির মহাপরিচালক, আনসারের ডিজি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিজিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।