রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ডেকে বৈঠক নয়, সরকারকে চিঠি দেবে ইসি

 

নির্বাচন কমিশনরিটার্নিং কর্মকর্তাদের কেউ যাতে ডেকে বৈঠক করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারকে চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) কমিশন থেকে ইসি সচিবকে এ চিঠি ইস্যুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে হেলালুদ্দীন আহমদ জানান।
৪৫ জেলায় মেনটর (উপদেষ্টা) নিয়োগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ডেকে বৈঠক করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি সচিব বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তারা ইসির অধীন। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অভিযোগ না ওঠে বা এভাবে তাদের ডেকে সভা না করা হয়, সে জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।’
এর আগে এদিন দুপুরে বিএনপি ৪৫ জেলায় মেনটর নিয়োগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালেয় ডেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বিফ্রিং এবং প্রশাসন রদবদলসহ বেশকিছু অভিযোগে পাঁচটি পৃথক চিঠি দেয়।
জেলা প্রশাসকদের (রিটার্নিং অফিসার) পরামর্শ দেওয়ার জন্য বর্তমান ও সাবেক ৪৫ আমলাকে ৪৫ জেলায় পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
মেনটর নিয়োগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘৮ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৪৫টি জেলায় মেনটর নিয়োগ করা হয়েছে। এটি প্রচলিত একটি বিষয়। সরকার চাইলে এটা করতে পারে।’ তবে তিনি বলেন, ‘নিয়োগের বিষয়টি ইসি আগে থেকে অবগত ছিল না। তবে এই নিয়োগের পর ১৩ নভেম্বর তা স্থগিত করা হয়েছে।’
রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ইসি সচিব ও ডিএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে ‘ইন্ধন’দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘ইসি সচিব নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র মাত্র। এখানে সচিবের আলাদা কোনও সত্তা নেই। কমিশন থেকে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় সচিব ও সচিবালয় তা বাস্তবায়ন করে মাত্র।’

প্রশাসনে রদবদল প্রসঙ্গে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ঢালাওভাবে বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন কখনও গ্রহণ করে না। করেছে বলেও জানা নেই। সেই সুযোগও নেই।’
তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে তদ্ন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেকে ব্রিফিংয়ের ঘটনা তদন্তের দাবি বিএনপির