একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক বিশেষ সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে সিইসি এ কথা বলেন।
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ করে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করার কথা আমরা বলিনি। এটা আপনারা করবেন না। কারণ, এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। যারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা তারা বিব্রত হন। আমরা এটা চাই না।’
এ প্রসঙ্গে সিইসি আরও বলেন, ‘যদি তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হয়, তাহলে কোনও ব্যক্তির তথ্য গোপন সূত্র ব্যবহার করে সংগ্রহ করতে পারেন। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের জিজ্ঞেস করার দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করবেন না। মামলা করবেন না। কাউকে হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেফতার করা যাবে না। আশা করি আপনারা এটা করছেনও না।’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কারণে যেন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন।’
সিইসি আরও বলেন, ‘নির্বাচন যেন কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে আমরা পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। তবে কমিশন আপনাদের কর্মকাণ্ড নজরদারি করবে। অলরেডি অভিযোগ আসা শুরু করেছে। তবে নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করবেন। ভালোভাবে যাচাই না করে আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এতে আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্য একমাত্র পুলিশেরই আছে। তাই বিভিন্ন বাহিনী পুলিশের কাছ থেকেই পরামর্শ নেবে।’ পুলিশকে এখনই কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে বলেও জানান সিইসি।
তিনি বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বরের পর সশস্ত্রবাহিনীর ছোট টিম পুলিশের সঙ্গে দেখা করবে। প্রতি জেলায় থাকবে সশস্ত্রবাহিনীর ছোট টিম। এদের নিয়ে সমন্বয় করে কাজ করবেন। তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে। অন্যান্য বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবেন।’
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে সিইসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। সভায় অন্য চার কমিশনার ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত রয়েছেন।