নির্বাচন সামগ্রী যাচ্ছে এলাকায়

 

এলাকায় এলাকায় পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সামগ্রীএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ব্যালট পেপার ছাপানো বাদে সব নির্বাচন সামগ্রী প্রস্তুত করা হয়েছে। শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে ভোটগ্রহণের এসব সামগ্রী।  প্রথমদিনে যাচ্ছে ৩২টি জেলার সামগ্রী, বাকি জেলাগুলোতে  রবিবার (৯ ডিসেম্বর) পাঠানো হবে। আর  ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান জানান, যেসব  নির্বাচনি সামগ্রী প্রস্তুত হয়েছে আমরা তা বিতরণ শুরু করেছি। অনেকগুলো জেলায় ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

ব্যালট পেপার পাঠনো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যালট পেপার ছাপানোর সময় এখনও আসেনি। প্রতীক বরাদ্দের পর কোন আসনে কতজন প্রার্থী থাকবে, সেটা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যালট পেপার ছাপানো শুরু হবে। এরপর সেটা পর্যায়ক্রমে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে।’

জানা গেছে,  শনিবার সকাল থেকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের অধীনস্ত ৩২ জেলায় নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। এরমধ্যে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারসহ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র, নির্দেশিকা, ফরম ও প্যাকেট গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া, নির্বাচনি সামগ্রী যেমন— স্টাম্প প্যাড, অফিসিয়িাল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, লাল গালা, অমোচনীয় কালির কলম, ব্যাগ, চার্জার লাইট, ক্যালকুলেটর, স্টেপলার মেশিন ও স্টেপলার পিন ইত্যাদি নির্বাচন ভবনের গোডাউন থেকে বেলা একটার মধ্যে সরবরাহ করা হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটগ্রহণের জন্য যা যা প্রয়োজন, সব কিছুই প্রস্তুত করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পরের দিন ব্যালট পেপার মুদ্রণের জন্য পাঠানো হবে। ব্যালটে সবার নাম পৃথকভাবে উল্লেখ থাকবে, তাই এগুলো মুদ্রণে একটু সময় লাগবে। তবে ভোটগ্রহণের সাতদিন আগে থেকে সেগুলো নির্বাচনি এলাকায় পাঠানো শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।