নির্বাচনি ডামাডোল শুরু: সিইসি





সিইসি কে এম নূরুল হুদাআজ (সোমবার, ১০ ডিসেম্বর) থেকে নির্বাচনি ডামাডোল শুরু হলো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ করে সিইসি বলেন, ‘আপনারা সাংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ক্ষেত্রে মূলত আজ (সোমবার) থেকেই নির্বাচনি ডামাডোল শুরু হয়ে গেলো। বাকিটা মাঠে আপনাদের দায়িত্ব। আপনি স্বাধীন, আপনি নিরপেক্ষ, আপনি বিচারক, বিচারকের মাইন্ড আপনাকে অ্যাপ্লাই করতে হবে।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে সোমবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। প্রথম ধাপে আজ ২১৫ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্রিফিং করা হয়। তিন ধাপে মোট ৬৪০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্রিফ করবে কমিশন। ভোটগ্রহণের আগের দিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দুই দিন নির্বাচনের মাঠে নিয়োজিত থাকবেন বিচার বিভাগের এসব কর্মকর্তা।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠুভাবে করবেন, সেটি আপনি আপনার মেধা, প্রজ্ঞা দিয়ে বিবেচনা করবেন। রাগ অনুরাগের বশবর্তী হয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আতঙ্ক নয়, আস্থার পরিবেশ চাই। একেবারে নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন করতে চাই, আমাদের কাছে কোনও দল কিংবা মত নেই।’
সিইসি বলেন, ‘সংবিধান, জাতি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারের কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনেরর জন্য কমিশন দায়বদ্ধ। আস্থা অর্জনের জন্য নিরপেক্ষভাবে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ছয়শ'র বেশি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি মাঠে থাকবেন। বৈষম্যের ঊর্ধ্বে থেকে রাগ অনুরাগ প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞা ও মেধা খাটিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হবে। আতঙ্ক নয়, কমিশন চায় আস্থার একটি পরিবেশ।’
কেউ শিথিলতা ও পক্ষপাতিত্ব করলে ১৯৯১ সালের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে একটাই স্বপ্ন, কোনও প্রার্থী যেন ভোটের মাধ্যমে নিজের জয় নিশ্চিত না করে জাতীয় সংসদে আসতে না পারেন।’
এছাড়াও ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।