মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলায় কমিশন বিব্রত: সিইসি

বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। এই ঘটনা কমিশনকে বিব্রত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জুডিয়াশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন,  ‘গতকালকে (মঙ্গলবার) আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলেছিলাম যে, সারাদেশে নির্বাচনি কার্যক্রমে কোনও অঘটন ঘটেনি।  কিন্তু  গতকালকেই দুটো ঘটনা ঘটেছে, যেটা আমাদেরকে বিব্রত করেছে, মর্মাহত করেছে। নিহতের ঘটনা আমাদেরকে অত্যন্ত বিব্রত করেছে, ব্যথা দিয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িতে হামলা হয়েছে, যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং আমরা কিন্তু বিব্রত। এটা কখনও কাম্য হতে পারে না। একটা মানুষের জীবন সমস্ত নির্বাচনের চেয়ে মূল্যবান। সারাদেশে যে ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। সেটার যে মূল্য, আমরা মনে করি, একটা মানুষের জীবনের মূল্য তার চেয়ে বেশি। সহিংসতার কারণে সেই জীবন চলে গেলো, এটা কারও কাম্য হতে পারে না। এই অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।’

সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, কর্মী, প্রার্থী, ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী সবার প্রতি অনুরোধ করতে চাই, আপনারা ধৈর্যশীল আচরণ করবেন। নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলবেন। কারও নির্বাচনি প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না। একে অন্যের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবেন। যেকোনও উত্তেজনাকর, উদ্বেগজনক নির্বাচন পরিপন্থী ও অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যাবলী পরিহার করবেন এবং নিজেরাই তা প্রতিহত করবেন।’

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ করে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, নির্বাচন সহিংসতার জায়গা নয়, ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জায়গা। ধৈর্য্য ও একে অন্যের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে।’

একাদশ সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ তো বটেই, সবদিক দিয়ে আলাদা নির্বাচন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগের কোনও নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।  প্রতিটা কেন্দ্রে গড়ে প্রায় ছয়জন প্রার্থী, সারা দেশে এক হাজার আটশ’র বেশি প্রার্থী মাঠে থাকবে, প্রতিদ্বন্ধিতা করবে।’

এসময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।