এমাজউদ্দীন আহমদে বলেন, ‘২০১৮ সালের পর আমরা বাংলাদেশের ভিন্নতা লক্ষ করবো। ৩০ ডিসেম্বরের পর আমাদের সামনে অন্য একটা চিত্র আসবে। তবে, এই দেশের নাগরিকদের উচিত একটা প্রতিবাদ করা। আর প্রতিবাদ যদি ব্যর্থ হয়, তার জন্য আরও সুচিন্তিতভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘রাষ্ট্র, সরকার ও দল—কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বতন্ত্র। প্রত্যেকটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র, সরকার থেকে আলাদা। সরকার, দল থেকে ভিন্ন। এই সরকার প্রথম থেকে এই ভিন্নতা রাষ্ট্র, সরকার ও দলের স্বাতন্ত্র্য পুরোপুরি মুছে দিয়ে একাকার করেছে।’
ঢাবির সাবেক এই ভিসি বলেন, ‘আমি বহু দিনের শিক্ষক। আমার অনেক ছাত্র পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন হিসেবে আছেন। এই বক্তব্য হয়তো তাদের কানে পৌঁছাবে। তাদের জন্য এই কথাটুকু এখান থেকে উচ্চারণ করতে চাচ্ছি, সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিধ্বস্ত করার জন্য যে পরিকল্পনা করেছিল, তোমরা সরকারের এই ভুল পদক্ষেপের শিকার হইও না। জাতি তোমাদের মনে না রাখলেও সাধারণ মানুষের যেন তোমাদের দ্বারা উপকার হয়।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শহিদুল্লাহ, আব্দুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।