কাজই শুরু হয়নি জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাবনাগুলোর

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারদুই-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দেওয়া জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাব বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়গুলো এখনও কাজই শুরু করেনি। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওইসব প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন শেষে নতুন সরকার গঠনের পরই নতুন উদ্যোমে জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাবনাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ থেকে ২৬ জুলাই (২০১৮) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে সারাদেশের জেলা প্রশাসকরা ৩৩৬টি প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে সেসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরগুলোতে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের কারণে মন্ত্রণালয় ও দফতরগুলো সেসব প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারেনি। নির্বাচনের পরেই এ বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যালোচনা করা হবে জানান সংশ্লিষ্টরা। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাবনাগুলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি হিসেবে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিছু প্রস্তাবনার কাজ আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। সেগুলো ছাড়াও যেগুলো স্বল্প মেয়াদি ছিল সেগুলোর কিছু কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নির্বাচনের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যেমন স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহকৃত অ্যাম্বুলেন্সের চালক নিয়োগের বিষয়টি। এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে মোট ৪২২টি পদের মধ্যে ৬৭টি পদ শূন্য রয়েছে। গত ২৪ মার্চ (২০১৮) সংশোধিত নিয়োগ বিধি প্রকাশিত হওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (ড্রাইভারসহ) নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এমন আরও কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে, যেগুলোর কার্যক্রম চলমান আছে। বাকিগুলোর বিষয়ে নির্বাচনের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন তো আমরা জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আছি। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে যেসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়নে কাজ চলছে। নির্বাচনের পর এসব বিষয় নিয়ে পুরোদমে কাজ করব।’

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক সেবাস্টিন রেমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলনে যেসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরে চিঠি দিয়েছি। সেসব চিঠি তাদের বিবেচনাধীন রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কিংবা দফতর থেকে আমরা এখনও এ সংক্রান্তে কোনও চিঠি পাইনি।’

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক যেসব প্রস্তাব জেলা প্রশাসন সম্মেলনে দেওয়া হয়েছিল, এরইমধ্যে সেগুলো বাস্তবায়নের কাজ চলছে। কিছু বিষয়ে আগে থেকেই আংশিক কাজ হয়েছিল এবং প্রক্রিয়াধীন ছিল। সেগুলোকেও পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’