এদিকে সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে ঝড়টি ভারতের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম শেষ করে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে ঝড়ের প্রভাবে সাগর এখনও উত্তাল। এ কারণে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
রবিবার দুপুরের পর ঘূর্ণিঝড় ফেথাই এর প্রভাবে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রা কমে গেছে। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়, ফেথাই- এর প্রভাবে আগামী দুই একদিন ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। তিনি জানান, এই ঝড়ের প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
এক সর্তকবার্তায় জানানো হয়, ঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের ওপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌযানগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।