নির্বাচনি প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে হলে সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। তিনি বলেন, ‘সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানের একটি হোটেলে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী, এমন প্রশ্নের উত্তরে মিলার বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের পর যে বক্তব্য দিয়েছিলাম, আজকেও একই বক্তব্য আমাদের।’
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে মিলারের বৈঠকের পর বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে (বুধবার) মূলত সেরকম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না। আমরা এবার নির্বাচনে যাচ্ছি, তার জন্য ইশতেহার ঘোষণা করেছি, সেটা ছিল বাংলায়। আজ বিদেশি কূটনীতিকদের ইংরেজিতে আমাদের ইশতেহার দিয়েছি।’
বিএনপি নেতা রিপন বলেন, ‘ইশতেহারের মূল বিষয় আমরা কী করতে চাই, তা তাদের (কূটনীতিকদের) জানিয়েছি। এছাড়া, আমরা কীভাবে বাধার মুখোমুখি হচ্ছি, হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের শিকার হচ্ছি, তাও জানিয়েছি।’
বৈঠকে কূটনীতিকরা কী বলেছেন জানতে চাইলে রিপন বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকরা সাধারণত শোনেন, বুঝেন কিন্তু তারা কোনও মন্তব্য করেন না।’
এ সময় বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারের ইংরেজি কপি দেওয়া হয় বলেও জানান রিপন।
বৈঠক শেষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি, যদি ২০ তারিখ (ডিসেম্বর) থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়, তাহলে এখন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা হচ্ছে, তা হবে না।’
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারসহ যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ ৩৫টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন বলেও জানান আসাদুজ্জামান রিপন।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম